0

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (গেস্টেশনাল ডায়াবেটিস)

Created : Tue Aug 13 2024



ডায়াবেটিস এবং গর্ভাবস্থা: নারীদের জন্য সতর্কতা

গর্ভবতী নারীদের জন্য ডায়াবেটিসের স্বাস্থ্যঝুঁকি অত্যন্ত গুরুতর। টাইপ-১ বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীরা গর্ভধারণের সময় এবং পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জটিলতার মুখোমুখি হতে পারেন। একইভাবে, যেসব নারীর পূর্বে ডায়াবেটিস ছিল না, তারা গর্ভাবস্থায় বিশেষ ধরণের ডায়াবেটিস বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস) দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন।


গর্ভকালীন ডায়াবেটিস: সম্ভাব্য সমস্যা


১. ডায়াবেটিসের প্রভাব: গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নারীদের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সন্তানের স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে। এর ফলে গর্ভধারণের সময় বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে, যেমন:

  • সন্তান বড় আকার ধারণ করতে পারে, যার ফলে প্রসব বেদনা বাড়তে পারে।
  • মায়ের চোখে বা কিডনিতে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
  • টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা ডায়াবেটিক কেটোঅ্যাসিডোসিসের ঝুঁকিতে থাকতে পারেন, যা গর্ভকালীন সময়ে তীব্র হতে পারে।


২. সন্তানের সমস্যা: গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের কারণে সন্তানের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, যেমন:

  • জন্মের পর স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা (হৃৎপিণ্ড ও শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা)।
  • ভবিষ্যতে স্থূলতা বা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।
  • জন্মের পর স্নায়ুতন্ত্র এবং হৃৎপিণ্ডের সমস্যা।


গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের পর্যালোচনা

ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীদের গর্ভধারণের অন্তত তিনমাস আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। অধ্যাপক হাজেরা মাহতাব বলেন, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণভাবে, গর্ভকালীন সময়ে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং প্রতিদিন ৫ মিলিগ্রাম ফলিক এসিড ট্যাবলেট গ্রহণ করা উচিত।


গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের লক্ষণ এবং ঝুঁকি

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট লক্ষণ প্রদর্শন করে না, তবে কিছু ক্ষেত্রে লক্ষণগুলি হতে পারে:


  • তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়া
  • অতিরিক্ত প্রস্রাবের বেগ
  • মুখ শুকিয়ে যাওয়া
  • দ্রুত ক্লান্তি


লক্ষণ:

গর্ভধারণের আগে থেকেই যেসব নারীরা টাইপ-১ বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত থাকেন তাদের গর্ভধারণের ক্ষেত্রে বেশকিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে। শিশুর আকৃতি অপেক্ষাকৃত বড় হওয়া, যার ফলে সাধারণের তুলনায় বেশি প্রসব বেদনা অনুভব করতে পারেন নারী।


গর্ভবতী নারীর চোখে (ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি) ও কিডনিতে (ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি) জটিলতা তৈরির সম্ভাবনা থাকে।


টাইপ-১ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ডায়াবেটিক কেটোঅ্যাসিডোসিস হতে পারে যার কারণে রক্তে ক্ষতিকর রাসায়নিক কেটোন তৈরি হতে পারে গর্ভকালীন সময়ে এ ধরণের রোগ তৈরি হতে পারে অথবা এসব রোগ থাকলে গর্ভকালীন সময়ে তার তীব্রতা বাড়তে পারে।

NEWSLETTER

GET LATEST NEWS

© 2024 all rights reserved by Renix unani laboratories limited

PaypalVisaAmerican ExpressMastercard