
Renix Care is committed to provide high-quality Unani Medicine & Natural products at competitive prices backed by excellent customer service so you can trust us with your purchase decisions every time!
Created : December 3, 2024
ডায়াবেটিস মেলিটাস যা সাধারণত ডায়াবেটিস নামে পরিচিত। ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যা শরীরের ইনসুলিন উৎপাদনে সমস্যা বা ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস (Diabetes) প্রধানত শরীরের অগ্ন্যাশয় (pancreas) থেকে উৎপন্ন হয়। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন (insulin) নামক একটি হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এই ইনসুলিন রক্তে শর্করার মাত্রা (blood sugar level) নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যখন অগ্ন্যাশয় থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন নিঃসৃত না হয়, অথবা শরীর ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলে, তখন ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ডায়াবেটিস মানব দেহে সাধারণত দুই ধরনের দেখা যায় যেমনঃ টাইপ ১ ডায়াবেটিস এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস।
ডায়াবেটিস মানবদেহের বিভিন্ন অংশে ক্ষতি করতে পারে, যার মধ্যে প্রধান হলো হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা, চোখের সমস্যা, স্নায়ুর ক্ষতি, ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত এবং পায়ের সমস্যা। এটি শরীরের ইনসুলিন উৎপাদন বা ব্যবহারের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা কি সম্ভব? হ্যাঁ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যদিও ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। টাইপ ১ ডায়াবেটিস সাধারণত সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায় না, তবে এটিকে ইনসুলিন এবং অন্যান্য চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। টাইপ ২ ডায়াবেটিস জীবনযাত্রার পরিবর্তন, যেমন - সঠিক খাদ্যভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং প্রয়োজনে ঔষধ সেবনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে এটি বিপরীতও হতে পারে, অর্থাৎ, ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। চলুন জেনে নিই কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাবার নির্বাচনের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং ডায়াবেটিসের জটিলতা এড়ানো যায়। একটি সুষম খাদ্য তালিকায় শর্করা, আমিষ, ফ্যাট, ভিটামিন ও মিনারেল এর সঠিক মিশ্রণ থাকা উচিত। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নিচে আলোচনা করা হল।
শর্করা জাতীয় খাবার: মিষ্টি আলু, লাল চাল, লাল আটা, ওটস, বার্লি, মসুর ডাল, এবং ছোলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো শর্করা জাতীয় খাবার। এছাড়াও, শাক-সবজি, ফল এবং আস্ত শস্যদানাও তাদের খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। সাদা চাল, সাদা আটা, চিনি, মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।
আমিষ জাতীয় খাবার: মাছ, মুরগি, ডিম, শিম এবং মটরশুঁটি ইত্যাদি প্রোটিনের ভালো উৎস। মাংস খাওয়ার সময় চর্বি এড়িয়ে যাওয়া উচিত। উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের জন্য ডাল, মটরশুঁটি, শিম, বাদাম ইত্যাদি গ্রহণ করা যেতে পারে।
ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় খাবার: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাদ্য তালিকায় পরিমিত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রাখা প্রয়োজন, যা শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাহায্য করবে। প্রতিদিনের ক্যালোরির ১০% এর কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণ করা উচিত, according to the American Diabetes Association। মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। আদর্শ ফ্যাট বা চর্বি (monosaccharide) জাতীয় খাবার হলো অলিভ অয়েল, কাঠবাদাম, আখরোট, কুমড়োর বীজ, অ্যাভোকাডো, স্যামন, সার্ডিন, যা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস।
শাকসবজি ও ফল: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শাকসবজি ও ফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শাকসবজি ও ফল ভিটামিন, খনিজ, এবং ফাইবারের ভালো উৎস, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট শাকসবজি ও ফল বেছে নেয়া ভালো, যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যেমন সবুজ শাকসবজি মধ্যে পালং শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লেটুস পাতা, মেথি শাক ইত্যাদি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এগুলিতে ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেট কম থাকে এবং ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বেশি থাকে। অন্যান্য সবজির মধ্যে লাউ, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, শসা, গাজর, টমেটো ইত্যাদি স্টার্চবিহীন সবজি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) যুক্ত ফল মধ্যে আপেল, কমলা, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, ব্লুবেরি, চেরি, পেঁপে ইত্যাদি ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত। এগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি বৃদ্ধি করে না।
অন্যান্য বিষয়: খাবারে লবণের পরিমাণ কমানো উচিত। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড এবং চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। খাবারের তালিকা তৈরি করার সময়, গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) বিবেচনা করা উচিত।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম খুবই জরুরি। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, ওজন কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং সামগ্রিক সুস্থতা উন্নত করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়ামের ধরন আলোচনা করা হলো যেমনঃ দ্রুত হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো, সাঁতার, ভারোত্তোলন, যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং এর মতো ব্যায়ামগুলো শরীরের নমনীয়তা বাড়ায় এবং আঘাতের ঝুঁকি কমায়।
ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ বা ইনসুলিন গ্রহণ। এছাড়াও, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করা এবং সেই অনুযায়ী খাদ্য ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা উচিত।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকর কিছু উপায় হলো:
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা খুবই জরুরি। এটি শুধু শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সচল রাখতেই সাহায্য করে না, বরং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিস থাকলে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন, কারণ পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভালোভাবে কাজ করে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পানি পানের কিছু টিপস:
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রাকৃতিক উপায়গুলো হলো প্রতিদিন পেঁয়াজ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে, নয়নতারা ফুলের পানি দিনে দু’বার পান করলে উপসর্গ হ্রাস পায়, পনির ফুল ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়ায়, সকালে করলার রস খেলে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে, দারচিনি ইনসুলিন উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক, অ্যালোভেরার ফাইটোস্ট্যারলস টাইপ 2 ডায়াবেটিসে কার্যকর, আমপাতার সেদ্ধ পানি নিয়মিত পান করলে উপকার পাওয়া যায়, মেথি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়, চর্বিযুক্ত মাছের ওমেগা-3 রক্তে চর্বি ভারসাম্য রাখে, ডুমুরের ফাইবার রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, গায়নূরা প্রোকাম্বেন্স ইনসুলিন ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক, চিনি ছাড়া কফি দৈনন্দিন জীবনে ঝুঁকি কমায়, এবং ফাস্টফুড পরিহার, ধূমপান ত্যাগ ও নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও শরীরচর্চা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ।
Visit Our Unani Medicine Shop: Unani Shop | Diabetes Medicine | Unani Skin Care & Hair Care | Health & Wellness | Weight Gainer Supplement | Sexual Wellness
Comments