Created : Sun Oct 06 2024
এমন কথা অনেকের মুখেই শুনি। আবার কেউ বলেন, “ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াশ ভালো?” সত্যি কথা বলতে, আমাদের স্কিন কিন্তু একেক জনের একেক রকম। আর ঠিক সেই কারণেই সবার জন্য একই ফেইসওয়াশ বা স্কিন কেয়ার কাজ করে না।
আজ আমি আপনাদের জন্য ৫টি স্কিন টাইপ অনুযায়ী আলাদা করে বলবো—কোন ধরনের ত্বকের জন্য কোন উপকরণযুক্ত ফেইসওয়াশ ভালো, আর সেই ত্বকের যত্নই বা কেমন হওয়া উচিত। চলুন তাহলে একসাথে জেনে নেওয়া যাক।
তবে তার আগে আমি চাই, আমরা একটু পরিচিত হই কম্বিনেশন স্কিন বা মিশ্র ত্বকের সঙ্গে। কারণ এই স্কিন টাইপটা একটু আলাদা। এতে গালের অংশ হয় শুকনো বা নরমাল, আবার কপাল, নাক আর থুতনির অংশে অতিরিক্ত তেল বের হয়। একসাথে দুই ধরনের যত্ন দরকার হয় বলেই এই স্কিন টাইপের জন্য একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করতে হয়।
কম্বিনেশন স্কিনের যত্নে সবচেয়ে কার্যকর একটি ফেইসওয়াশ হচ্ছে Neemo Face Wash। এটি একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ফেইসওয়াশ, যা ত্বকের গভীর থেকে ময়লা ও তেল পরিষ্কার করে দেয়। আর সবচেয়ে বড় কথা, এটি সানবার্ন বা রোদে পোড়া দাগ থেকেও ত্বককে রক্ষা করে। দিনে দু’বার এই ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলেই অনেকটা হালকা ও সতেজ অনুভব হয়।
🔗 এখানে অর্ডার করুন Neemo Face Wash
এখন চলুন, একে একে দেখে নিই বাকি স্কিন টাইপগুলো কেমন, কী সমস্যা থাকে, কোন উপাদান ভালো আর কীভাবে সেগুলোর যত্ন নেওয়া উচিত।
মনে করুন, আপনি সকালে ফেইস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই নাকের পাশ, কপাল, থুতনির অংশে এক ধরনের তেলতেলে ভাব চলে আসে। দুপুরে বাইরে বের হলে ধুলাবালি, ঘাম আর সেই তেল একসাথে হয়ে মুখে যেন একটা ভারি পরত তৈরি হয়। আর আয়নার সামনে দাঁড়ালে স্পষ্ট দেখা যায়, মুখ যেন জ্বলজ্বল করছে। অনেকে বলেন, "ব্রণ তো মুখে বাসা বেঁধে ফেলেছে!" এই যদি হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে আপনার স্কিন অয়েলি স্কিন।
অয়েলি স্কিনের জন্য সবচেয়ে ভালো ফেইসওয়াশ হলো যেটা ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও সেবাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, আবার স্কিনকে একদম রুক্ষ না করে ভেতর থেকে ডিপ ক্লিন করে। কিন্তু শুধু "অয়েল কন্ট্রোল" লেখা থাকলেই তো চলবে না—এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকা জরুরি।
যেমন, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ত্বকের গভীরে জমে থাকা তেল ও মৃত কোষ পরিষ্কার করে, ব্রণ কমায়।
টি-ট্রি অয়েল ত্বকে অ্যান্টিসেপটিক কাজ করে, ইনফ্লেমেশন ও ব্রণ কমায়।
নিম ও হলুদ ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, দাগ ও পিগমেন্টেশন কমায়।
অ্যাক্টিভেটেড চারকোল স্কিনের গভীর থেকে ধুলোবালি ও অতিরিক্ত তেল টেনে আনে।
আর নিয়াসিনামাইড ত্বকের অয়েল ব্যালান্স বজায় রেখে গ্লো বাড়ায়।
এই উপাদানগুলো যেসব ফেইসওয়াশে থাকে, সেগুলোই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সত্যিকারের উপযুক্ত। তাই প্রোডাক্ট কেনার সময় নামের চেয়ে উপাদান দেখে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আপনার কি সবসময় ত্বকে টান টান একটা অনুভূতি হয়? হাত দিলে রুক্ষ লাগে? বিশেষ করে শীতে গাল, ঠোঁট, এমনকি চোখের চারপাশও ফেটে যেতে চায়? বা কখনো মেকআপ করলে সেটা একদম পাতার মতো উঠে যায়? এই লক্ষণগুলো দেখে বোঝা যায় আপনার ত্বক শুষ্ক ধরনের।
শুষ্ক ত্বকের ফেসওয়াশে কয়েকটি উপাদান থাকা একেবারেই জরুরি। যেমন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড। এই উপাদানটি ত্বকের গভীর স্তরে পানি ধরে রাখে এবং স্কিনকে ভেতর থেকে হাইড্রেট করে। এরপর আছে গ্লিসারিন, এটি স্কিনকে নরম রাখে এবং বাইরে থেকে আর্দ্রতা টেনে আনে, ফলে ত্বকে সারাদিন একটা কোমল অনুভূতি থাকে। সিরামাইডস আরেকটি অসাধারণ উপাদান, যা স্কিনের প্রাকৃতিক ব্যারিয়ার রক্ষা করে এবং ত্বককে ক্ষতিকর পরিবেশগত প্রভাব থেকে বাঁচায়। অ্যালোভেরা হালকা ঠান্ডা ভাব দেয় এবং যাদের স্কিনে চুলকানি বা হালকা র্যাশ থাকে, তাদের জন্য বেশ আরামদায়ক। এছাড়া জোজোবা অয়েল বা স্কোয়ালেন থাকলে সেটিও প্লাস পয়েন্ট। এই উপাদানগুলো ত্বকের গভীর শুষ্কতা দূর করে পুষ্টি জোগায়।
স্বাভাবিক ত্বক চেনা সহজ এবং তা ত্বককে সঠিকভাবে যত্ন নিতে সাহায্য করে। আপনার ত্বক যদি অতিরিক্ত তেল বা শুষ্কতার সমস্যা না ভোগে, তবে সেটা স্বাভাবিক ত্বক হতে পারে। স্বাভাবিক ত্বক এমন একটি ত্বক যা মসৃণ, উজ্জ্বল, এবং স্বাস্থ্যকর থাকে। এটি অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন থেকে বিরত থাকে, ত্বককে সুন্দর এবং সুস্থ রাখে।
স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে, ত্বককে সুস্থ রাখে এবং টানটান অনুভূতি থেকে রক্ষা করে। সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার ত্বকের প্রাকৃতিক ব্যালান্স বজায় রাখতে সহায়তা করে, যা অতিরিক্ত তেল বা শুষ্কতার সমস্যা থেকে দূরে রাখে।